October 19, 2024, 6:48 am
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুলাল মিয়া (৪০) নিহতের ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী আমিনা খাতুন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে । শনিবার বিকেলে আট অবুঝ শিশু সন্তানদেন সাথে নিয়ে স্বামী হত্যার বিচারের দাবীতে বাহুবল মডেল থানায় আসেন স্ত্রী আমিনা খাতুন।
উল্লেখ্য যে,গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের গোসাই বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে দুলাল মিয়া(৪০) নিহত হয় এবং আহত হন প্রায় ২০ জন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় নিহত দুলাল মিয়ার বড় ভাই কাজল মিয়া সহ ৪ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে আহত কাজল মিয়ারও অবস্থাও সংকটাপন্ন।
দুলাল মিয়া শংকরপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার শংকরপুর গ্রামের মাস্টার বাড়ী ও সর্দার বাড়ীর লোকজনের মধ্যে একটি বাঁশ কাটা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের শালিসতা হওয়ায় মাস্টার বাড়ীর মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী গোসাই বাজারে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় তাদের ছুরিকাঘাতে দুলাল মিয়ার মৃত্যু হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে নিহত দুলাল মিয়ার বড় ভাই মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া(৪৫), আকবর আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া(৪২), মৃত মুনছব উল্লার ছেলে শফিক মিয়া(৫০)ও তার ভাই বশির মিয়া(৪৫)কে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জালাল উদ্দীনের ছেলে তোফায়েল আহমেদ(১৯)কে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার বিকেলে নিহত দুলাল মিয়ার স্ত্রী আমিনা খাতুন অবুঝ আট শিশু সন্তান মোঃ রাজু আহমেদ(১২) রাকিব আহমেদ(১০) রাশেদ আহমেদ(৯) সাইফুল ইসলাম(৭) ফলেজ আহমেদ(৫) মারজিয়া, মারিয়া ও ৩ মাসের শিশু সন্তান নেয়াজ আহমেদকে কোলে নিয়ে মামলা দায়ের করতে থানায় আসেন।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শংকরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে কাজল মিয়া৪০), মৃত মইনুল্লাহ চৌকিদারের ছেলে দুলা মিয়া(৫০), মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে ছাবু মিয়া(৪০), আয়ূব আলীর ছেলে ইমরুল মিয়া(৩০), ও আছিম উল্লার ছেলে আব্দুস সহিদ(৪২) কে আটক করে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রকিবুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।